বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংক্ষিপ্ত জীবন কাহিনী
Read more:বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর লাশ চুরির কাহিনী
প্রায় চৌদ্দশ বছর আগের কথা আরব উপদ্বীপে তখন চরম উশৃংখলতা ও পাপাচার বিরাজমান গোত্রে গোত্রে চলছে আভিজাত্য ও বংশমর্যাদা লড়াই সামান্য কারণে শুরু হতো যুদ্ধ হত্যা আলন্দন সেইসময় আরবের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা পরিহাস ইকরা এই যুগের নামকরণ করেন আইয়ামে জাহেলিয়া বা অজ্ঞানতার আরব সমাজ যখন অন্যায়-অপরাধ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জর্জরিত ঠিক সেই সময় এমনই এক ব্যক্তির আবির্ভাব হয় যিনি পরবর্তীতে শুধু আরবী নয় সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন এক ব্যক্তি হিসেবে তাঁর অসামান্য জীবনী নিয়ে লেখা হয়েছে সবচেয়ে বেশি জীবনী গ্রন্থ অনুমান করতে পারেন কি কৃষি মহান ব্যক্তি বলছিলাম ইসলাম ধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কথা বাদ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অসাধারণ ছিল যে তার বিরুদ্ধবাদীরা ও তার প্রশংসা না করে পারা মানব জীবনের সকল ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সফল ও প্রশংসনীয় বলতে পারেন কেন শুধুমাত্র মানবীয় গুণাবলীর জন্য প্রচারিত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করে ও অনেকেই তাকে মহামানবের স্বীকৃতি দিয়েছেন আপনার মধ্যে বর্তমান দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে তার মতন নেতৃত্তের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু , এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কেমন ছিল ইসলাম ধর্মের শেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ,মা আমিনা নবজাতকের নাম রাখেন আহমাদ দাদা আবদুল মুত্তালিব ভালোবেসে তার নাম রাখেন মোহাম্মদ আরতির রীতি অনুযায়ী মরুভূমির মুক্ত আবহাওয়ায় বেড়ে ওঠার মাধ্যমে সুস্থ দেহ ও সুঠাম গঠন তৈরীর জন্য শিশু মুহাম্মদকে রাখা হয় খাত্রি হালিমার কাছে নির্দিষ্ট সময় পর তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয় তার মায়ের কোলে ছয় বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি তার মায়ের সাথে কাটানো জন্মের পূর্বে পিতা আব্দুল্লাহ 86 বছর বয়সে মা আমিনা কে হারিয়ে শেষ মুহূর্তে থাকেন তার দাদার তত্ত্বাবধানে বয়স যখন তখন তার দাদাও ইন্তেকাল করেন এরপর চাচা আবু দায়িত্ব নেন ভাতুষ্পুত্র মোহাম্মদের শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন কোমল স্বভাবের আর উত্তম চরিত্র সদাচরণ ও সত্যবাদিতা কারণে তাকে ডাকা হতো আল-আমিন বা বিশ্বাসী আরবদের মধ্যে বিদ্যমান অন্যায়-অনাচার প্রবণতা এবং প্রতিশোধ স্পৃহা তাকে ভীষণভাবে নাড়া দিত তাই মক্কায় ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হিলফুল ফুযুল সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হলে তিনিও | তাদের যোগ্য এখন মাত্র 15 বছর বয়সী এই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য পেশাগত জীবনের প্রথম দিকে তিনি ছিলেন রাখাল পরবর্তীতে তিনি ব্যবসা শুরু করলেও অল্প সময়ে হয়ে ওঠেন একজন সফল ব্যবসায়ী 25 বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন 40 বছর বয়সী খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ কে খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহু এর জীবন দশায় তিনি আর কোন বিয়ে করেননি তবে পরবর্তীতে আদর্শিক প্রয়োজনে নারী সমাজের বিভিন্ন উপকারের জন্য এবং আরবদের বিভিন্ন কুসংস্কার ও অযৌক্তিক প্রকার দূর করার জন্য তিনি মোট 11 টি বিয়ে করেন খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহু এর গর্ভে মোহাম্মদ সাঃ এর সন্তান জন্মগ্রহণ করেন তাদের নাম যথাক্রমে কাসিম যায়না রুকেয়া উম্মে কুলসুম ফাতেমা এবং আব্দুল্লাহ একমাত্র ফাতিমা ব্যতীত সকলেই তার জীবদ্দশাতেই মৃত্যুবরণ করেন 25 বছর বয়সের পর তিনি নির্জন প্রিয় হয়ে ওঠেন মক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন 610 খ্রিস্টাব্দে নবুওয়াত লাভ করেন তার উপর অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ আল কুরআন যা মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য তাকে
মক্কার কুরাইশদের নির্ধারণ অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে হয় 622 খ্রিস্টাব্দে তিনি মক্কা ছেড়ে মদীনায় হিজরত করেন ইসলামিক পঞ্জিকা হিজরতের বর্ষ থেকে দিন গণনা শুরু হয় মদিনায় তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন মক্কার কুরাইশরা মুসলমানদের সাথে বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয় ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ উহুদের যুদ্ধ খন্দকের যুদ্ধ প্রভৃতি নামে 630 খ্রিস্টাব্দে অষ্টমী হিজরীতে মুহাম্মদ সাঃ বিক্ষিপ্ত কিছু সংঘর্ষ ছাড়া প্রায় বিনা প্রতিরোধে মক্কায় প্রবেশ করেন এবং বিজয় লাভ করেন সেদিন তিনি মক্কাবাসী জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন তার ক্ষমা গুণে মুগ্ধ হয়ে অধিকাংশ মক্কাবাসী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন দশম হিজড়াদের 632 খ্রিস্টাব্দে হজ পালন কালে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত সকল মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তিনি ভাষণ দেন যা মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনের শেষ ভাষণ হিসেবে বিদায় হোক বা বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত বিদায় আজ থেকে ফেরার পর তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন 632 খ্রিস্টাব্দে বারই রবিউল আউয়াল 63 বছর বয়সে মুহাম্মদ সাঃ ইন্তেকাল করেন মানবজাতির জন্য রেখে যান এক উত্তম আদর্শ তিনি ছিলেন অধিক দানশীল সর্বাপেক্ষা সত্যভাষী এবং কোমল স্বভাবের অভিজাত বংশের হয়েও তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন তিনি সবচেয়ে গরিব দাস শ্রেণীর সঙ্গে বসতে বা খেতে লজ্জা বোধ করতেন না তিনি ছিলেন বিনম্র নিরহংকারী একইসাথে যুদ্ধবিদ্যা ও সাহসিকতায় তিনি ছিলেন বীর শিশুদের সাথে তার ব্যবহার ছিল আমায় তিনি ছিলেন অসহায় ইয়াতিম দরিদ্র ও মাশরুমের পদ্ধতি এবং জালি দীর্ঘ সূত্র আরব সমাজে তখন নিজ গোত্র ছেড়ে অন্য গোত্রের সাথে যোগদান অসম্ভব রূপে দেখা হতো কিন্তু তিনি প্রমাণ করেন বন্ধন শুধু গোত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় তিনি ভিন্ন ভিন্ন গোত্রের এক মুসলমানের সঙ্গে অন্য মুসলমানের ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি স্থাপন করেন শুধু ইবাদত-বন্দেগী নয় বরং ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে তিনি ছিলেন মানবজাতির জন্য আদর্শ একজন ব্যবসায়ী ও রাষ্ট্রনেতা হিসেবে তিনি যেমন সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ দিয়েছেন তেমনি সাম্য ন্যায় পরায়ণতা এবং দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে তিনি সব ক্ষেত্রেই ছিলেন অনুকরণীয় এককথায় ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে তিনি ছিলেন বিশ্বমানবতার জন্য একজন আদর্শ শিক্ষক |
Post a Comment