জিয়াউর রহমান এর জীবনী

জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি সাবেক সেনাপ্রধান এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজার 971 সালের 26 শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম' খেতাবে ভূষিত করে মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান হাজার 977 সালের 21 এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং হাজার 978 সালের পহেলা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দৃষ্টা করেন তিনি চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর হাজার 981 সালের 30 মে এক ব্যর্থ সামরিক অভিযানে নিহত হন তাহলে এবার জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই জিয়াউর রহমান 1936 সালের 19 জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাগবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জন্ম ও শৈশব এ তার ডাকনাম ছিল তার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয় তার পিতার কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ

জিয়াউর রহমান এর জীবনী

Red more: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংক্ষিপ্ত বাংলা আত্মজীবনী 

হিসেবে কর্মরত ছিলেন তার শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রাম্য কিছুকাল কলকাতা অতিবাহিত হয় ভারতবর্ষ বিভাগের পর তার পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে যান তখন জিয়া কলকাতা করেন এবং করাচি একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন ওই স্কুল থেকে 3 হাজার 952 সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং তারপর 953 সালে করাচিতে ডিজে কলেজে ভর্তি হন একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন হাজার 953 সালে তিনি কাকুল পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন 955 সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হন সামরিক বাহিনীতে তিনি একজন সুদক্ষ প্যারাট্রুপার কমান্ডো হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এবং স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স করছে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন করাচিতে দুই বছর চাকরি করার পর 957 সালে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হয়ে আসেন তিনি 1959 সাল থেকে হাজার 964 সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন ওই সময় 1960 সালে পূর্ব পাকিস্তানে দিনাজপুর শহরে বালিকা খালেদা খানম এর সঙ্গে জিয়াউর রহমান বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন হাজার 965 সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একটি কোম্পানী কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন দুর্ধর্ষ সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য যেসব কোম্পানি সর্বাধিক বিরুদ্ধে পুরস্কার লাভ করে জিয়াউর রহমানের কোম্পানির ছিল এদের অন্যতম এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হেলালি জুরআত খেতাবে ভূষিত করে এছাড়াও জিয়াউর রহমানের ইউনিট এ যুদ্ধে বীরত্বের জন্য দুটি শীতল এবং নোংরা হিজড়া মেডেল লাভ করেন হাজার 966 সালে তিনি পাকিস্তানি মিলিটারি একাডেমিতে পেশাদার ইন্সট্রাক্টর পদে নিয়োগ লাভ করেন সে বছরই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েটায় স্টাফ কলেজের কমেন্ট করছে যোগ দেন 1969 সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হয়ে জয়দেবপুর সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন অ্যাডভান্স মিলিটারি এন্ড কমান্ডো ট্রেনিং কোর্সেস উচ্চতর শিখরের জন্মদিনে পশ্চিম জার্মানিতে যান এবং কয়েক মাস ব্রিটিশ আর্মির সাথে ও কাজ করেন 1970 সালে 

 একজন মেজর হিসেবে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা হাজার 971 সালের 25 মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর বরাবরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায় সে রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় বাঙালি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বন্দী হন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আত্মগোপনে জনগণ তখন দিশেহারা হয়ে পড়ে এই সংকটময় মুহূর্তে হাজার 971 সালের 26 শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বর আক্রমণের পর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিদ্রোহ করেন এবং সাতাশে মার্চ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ,এবং তার বাহিনী সামনে শাড়ি থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মেজর জিয়াউর রহমানের অবদান মেজর জিয়া এবং তার বাহিনীর সামনেই শাড়ি থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং বেশ কয়েকদিন তারা চট্টগ্রাম নোয়াখালী অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে

জিয়াউর রহমানের জীবনী

রাখতে সক্ষম হন পরবর্তীতে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অভিযানের মুখে কৌশলগতভাবে তারা সীমান্ত অতিক্রম করেন 17 এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে প্রথমে তিনি এক নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন এবং চট্টগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রাম নোয়াখালী রাঙ্গামাটি মিরসরাই রামগড় ফেনী প্রভৃতি স্থানে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন তিনি সেনা ছাত্র-যুব সদস্যদের সংগঠিত করে অতীতে প্রথম দ্বিতীয় ও অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নে সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনীর প্রথম নিয়মিত সদস্য ব্রিগেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমান যুদ্ধ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন 1971 সালের এপ্রিল জুন পর্যন্ত এক নম্বর সেক্টরের কমান্ডার এবং তারপর জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত যুগপৎ 11 নম্বর সেক্টর ও জেড ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীরউত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয় হাজার 1975 সালের 15 ই আগস্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড এরপর খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তারপরে ওই বছরের 25 আগস্ট জিয়াউর রহমান চিফ অফ আর্মি স্টাফ নিযুক্ত হন সামিল নেতৃত্বাধীন ঢাকা বীরোত্তম মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে এর ফলে 6 নভেম্বর খন্দকার মোশতাক আহমেদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হন এর পর জিয়াউর রহমানকে চিফ অফ আর্মি স্টাফ হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং তাকে তার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে গৃহবন্দী করে রাখা হয় 

তার জনপ্রিয়তার কারণে অত্যন্ত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয় সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড এর প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ সেনাসদস্যরা বীরউত্তম কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে 7 ই নভেম্বর সিপাহী-জনতার আরেক পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটে এবং দ্বিতীয় ফিল্ড আর্টিলারির সেনাসদস্যরা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ এর আর্টিলারির নেতৃত্বে জিয়াউর রহমানকে তার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্ত করে দ্বিতীয় ফিল্ড আর্টিলারির সদরদপ্তরে নিয়ে আসে ওই দিন সকালেই পাল্টা অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় কর্নেল আবু তাহের অধীনস্থ সৈন্যরা ক্যাপ্টেন জলিল ও ক্যাপ্টেন আজাদের নেতৃত্বে শেরেবাংলা নগরের দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদরদপ্তরে মুক্তিযোদ্ধা মেজর খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীরবিক্রম এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল এটিএম হায়দার বীরউত্তমকে হত্যা করে এরপর জেনারেল জিয়া ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন তিনি সেনাবাহিনীর নিয়মবহির্ভূতভাবে গণবাহিনী সৃষ্টির সেরা কর্মকর্তাবৃন্দকে হত্যাসহ বিভিন্ন কারণে কর্নেল আবু তাহের এর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনেন 1976 সালের একুশে জুলাই সামরিক ট্রাইব্যুনালে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয় অনেকেই ধারণা করেন 7 ই নভেম্বর কর্নেল তাহেরের জনপ্রিয়তা দেখে জিয়াউর রহমান শঙ্কিত ছিলেন তাই ক্ষমতা নিষ্কণ্টক রাখার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনেন 2013 সালের 20 মে 13 সালের 20 মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাজার 1976 সালের দেশ দ্রোহীতার অভিযোগে করা তাহেরের বিচার এবং মৃত্যুদণ্ডকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করে এবং এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে অবশেষে 1975 সালের 7 নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব এর পর জিয়াউর রহমান রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন 19 নভেম্বর 1976 সালে তাকে পুনরায় সেনাবাহিনীর চিফ অফ আর্মি স্টাফ পদে দায়িত্বে প্রত্যাবর্তন করা হয় এবং উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এর দায়িত্ব দেয়া হয় হাজার 976 সালের 8 ই মার্চ মহিলা পুলিশ গঠন করেন 1976 সালে কলম্বোতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন সম্মেলনে যোগদান করেন বাংলাদেশ সাজ্জাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে পদোন্নতি লাভ করেন 1976 সালে তিনি স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন উদ্বোধন করেন 1976 সালের 29 শে নভেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এর দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন হাজার 976 সালে তিনি গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করেন হাজার 1977 সালের 20 শে ফেব্রুয়ারি একুশে পদক প্রবর্তন করেন এবং রাষ্ট্রপতি উত্তরসূরি হিসেবে একুশে এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন জিয়া দেশে আবারও গণতন্ত্রায়নের উদ্যোগ নেন তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালুর সিদ্ধান্ত নেন দেশের রাজনীতিতে তিনি বলেন ডিফিকাল্ট ফর দা পলিতিশিয়ানস হাজার 1978 সালের তিনজন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান জয়লাভ করেন এই নির্বাচনে মোট 10 জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল এ নির্বাচনে 11 জন প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করেন এরপর জিয়াউর রহমান মে মাসের 19 দফা কর্মসূচি ঘোষণা এবং আস্থা যাচাইয়ের জন্য 30 মে গণভোট অনুষ্ঠান ও হ্যাঁ সূচক ভোটে বিপুল জনসমর্থন লাভ করেন জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের তথ্য প্রদান করে তা জনপ্রিয় করে তোলেন বাংলাদেশের বহুসংখ্যক বিভিন্ন ধরনের 17 ধর্মের নানা জাতিগোষ্ঠীর বাস করে তাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার মাত্রা ও ধরন একে অপরের থেকে ভিন্ন তারা মনে করেন যে ভাষা-সংস্কৃতির ঈদে নয় ভূখণ্ডের ভিত্তিতেই জাতীয়তাবাদকে গ্রহণ করা উচিত তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অপসংগতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এই ধারণা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় শক্তি হিসেবে বাংলাদেশকে শক্তিশালী ভিত্তিতে প্রদর্শিত করার প্রয়াস সৃষ্টি করেন জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তিনি সেনাবাহিনীতে তার বিরোধিতাকারীদের নিপিরণ করতেন তবে অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন অনেক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন বিপদের সমূহ সম্ভাবনা জেনেও জিয়া চট্টগ্রামের স্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে গঠিত করো থামানোর জন্য 1981 সালের 30 শে মে চট্টগ্রামে আসেন এবং সেখানে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে থাকেন তারপর 30 মে গভীর রাতে সার্কিট হাউসে মেজর জেনারেল আবুল মনজুর এর নেতৃত্বে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়া নিহত হন জিয়াউর রহমানকে ঢাকার শেরেবাংলানগরে দাফন করা হয় প্রেসিডেন্ট জিয়ার জানাযায় বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ জনসমাগম ঘটে সেখানে প্রায় 20 লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হয় হিসেবে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের অনেক রাজনীতিবিদদের কাছে সমাদৃত অস্বীকৃত হাজার 1975 সালের 15 আগস্ট সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড তার ভূমিকা বিতর্কিত হাজার 1975 সালে মজিবরের হত্যাকারীদের বিচার কার্য বন্ধ করার জন্য মোস্তাক আহমেদ এর অনুমোদিত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জিয়ার আমলে বৈধকরণ করা হয় তিনি রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন শেখ মুজিবুর রহমানের কতিপয় হত্যাকারীকে বিদেশে প্রেরণ করা হয় ঢাকা হাইকোর্ট রায় জিয়ার সামরিক শাসন ছ হাজার 1975 থেকে 1979 সালের মধ্যে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করে জিয়ার সামরিক আইন ও আদেশ অভিধান থেকে 1970 সালে রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণ এবং1938 সালে অনুষ্ঠিত গণভোট সংবিধানবিরোধী বলে ঘোষিত হয় এবং আদালতের রায়ে বলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয় শেখ মুজিবের আমলে শেষের দিকে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা দমন এবং বাকশাল মুজিবের দেয়ার প্রতিশ্রুতি ও একদলীয় শাসন রহিত করণের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা জন্য জিয়াকে কৃতিত্ব দেয়া হয় অপরপক্ষে চিয়াতের বিরোধীদের দমন করার জন্য সমালোচিত হন তবুও অর্থনীতি পুননির্মাণ করার জন্য অর্থনৈতিক সংস্কার গ্রহণের জন্য জিয়াকে কৃতিত্ব দেয়া হয় তার ইসলামিক মনোভাব তাকে বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন এনে দেয় তার জাতীয়তাবাদী দর্শন অনেকের দৃষ্টি কেড়ে নিতে সক্ষম হয় যারা ভারত ও সোভিয়েত পন্থী রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল মুজিবের ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রত্যাখ্যান করে জিয়া বাংলাদেশ ইসলামিক রাজনীতি চালু করেন এবং মুসলিম জাতি সমূহের সহযোগিতা সংস্থা বাংলাদেশকে তুলে ধরেন, 

ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল তবু ঐতিহাসিকদের মতে এসব ব্যবস্থা বাংলাদেশের অনেক উপজাতীয় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিচ্ছিন্ন ও বিরুদ্ধাচরণ করে যে ভবিষ্যতের বেশকিছু সাম্প্রদায়িক ও উপজাতির দ্বন্দ্বকে ত্বরান্বিত করে যদিও এই দৃষ্টিভঙ্গিতে কেবল জিয়াকে একা এসব কার্যক্রমের জন্য দায়ী করা যায়না জিয়া যে সাধারণ অভিলাষ বিহীন জীবন যাপন করতেন লাইক ,

Post a Comment

Previous Post Next Post