ডাক্তার কুদরত-ই-খুদা এর জীবনী
ডঃ কুদরাত-ই-খুদা যার পুরো নাম হচ্ছে, মোঃ কুদরত-ই-খুদা যিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী রসায়নবিদ গ্রন্থকার এবং, শিক্ষাবিদ শিক্ষা, অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে উপর 1976 সালে একুশে পদক এবং 984 সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে ডঃ কুদরত হাজার 900 সালের ডিসেম্বরের 1 তারিখে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মার গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ, করেন তাঁর পিতা খন্দকার আব্দুল মুকিত এবং মাতা হচ্ছেন ফারিহা খাতুন ডঃ কুদরত ই খুদা শিক্ষা জীবন শুরু হয় মারগ্রাম এমআই স্কুলে পরবর্তীতে তিনি চলে আসেন উডবার্ন এম এ স্কুলে এবং কলিকাতা মাদ্রাসায় কলিকাতা মাদ্রাসা থেকে তিন হাজার 1958 সালে ম্যাট্রিক পাস করেন তারপর তিনি ভর্তি হন বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজে সেখান থেকেই তিনি হাজার 1925 সালে রসায়নে প্রথম, শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এম এস সি পাশ করেন পাশ করার পর তিনি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে,
লন্ডনে পাড়ি জমান লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় হতে কনফিগারেশন অফ মাল্টিপ্ল্যান বেদ রিং বিষয়ে গবেষণার জন্য তিন হাজার 1929 সালে রসায়নে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন দেশে ফিরে এসে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন 1931 সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ মাধ্যমে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন 1931 সালে তিনি এ কলেজে বিভাগীয়, প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন 1942 সালে ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ এবং 1946 সালে প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন দেশ বিভাগের পর ডঃ কুদরাত-ই-খুদা পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং জনশিক্ষা পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন অতঃপর তিনি ,পাকিস্তান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা, হিসেবে নিয়োজিত,
হাজার 1952 থেকে 1975 সাল ,পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং 1955 থেকে 1964 সাল পর্যন্ত বিজ্ঞান ও শিল্প, গবেষণা গার সমূহের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন 1967 সালে চাকরি থেকে অবসর নিয়ে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পূনর্গঠনের জন্য যে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয় ডঃ কুদরাত-ই-খুদা তার সভাপতি নির্বাচিত হন প্রথম বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় 26 সালে লন্ডনের জার্নাল অফ কেমিক্যাল সোসাইটিতে ,কার্বোক্সি সাইক্লোহেক্সেন এসিটিক এসিড তৈরি করার সম্বন্ধে আলোচনা করেন হাজার,
1929 সালে ওই একই জার্নালে কার্বক্সিলিক এসিডের ডাইমিথাইল বিউটারিক অ্যাসিড, এর রিংটোন নিয়ে আলোচনা করেন তার পরবর্তী গবেষণালব্দ ফলের পুরনো একটি জার্নালে প্রকাশ করেন তিনি তিনটি প্রবন্ধে হাজার 1930 সালের দিকে ডক্টর খুদা স্টেরিও স্বামী স্ত্রী নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং হাজার 1947 সাল পর্যন্ত 17 বছর তিনি ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ কেমিস্ট্রিতে চৌদ্দটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত নেচার পত্রিকাতেও তিনি এ সময় স্ত্রীর সাইক্লিংয়ের মাল্টিপ্লেয়ার সাইক্লোহেক্সেন রিং নামে দুটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন সিস্টেমের ওপর তিনি যে তথ্য দিতে চেয়েছিলেন জৈব রসায়ন শাস্ত্রে তার শেষ পর্যন্ত স্থায়ী আসন লাভ করতে না পারলেও তার গবেষণার মৌলিকত্ব ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয় সুদীর্ঘ কর্মময় জীবনে তার মুখ 92 টি বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে জাতীয় জীবনে বিজ্ঞানের যথাযথভাবে প্রয়োগ এর জন্য কুদরত-এ-খুদা বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা বিশ্বাস করতেন তার বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ বিজ্ঞানের বিচিত্র কাহিনী ,
তৎকালীন বিয়াই সাহেব কর্তৃক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক মনোনীত হওয়ার পাশাপাশি হিন্দি উর্দু ও আমিও ভাষায় অনূদিত হয়েছিল গ্রন্থের বিপুল জনপ্রিয়তার পর প্রকাশকদের অনুরোধে তিনি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রচনা করেন বিজ্ঞানের সরল কাহিনী ও বিজ্ঞানের সূচনা নামের আরও দুটি গ্রন্থ তার রচিত জনপ্রিয় গ্রন্থ গুলি হল বিজ্ঞানের শরৎকাহিনী বিজ্ঞানের বিচিত্র কাহিনী বিজ্ঞানের জৈব রসায়ন যে টিচার খন্ডে বিভক্ত পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প সম্ভাবনা পরমাণু পরিচিতি বিজ্ঞান এর পহেলা কথা যুদ্ধোত্তর বাংলার কৃষি ও শিল্প বিচিত্র বিজ্ঞান পবিত্র কুরআনের পথ কথা ও গাড়ি যাওয়ার সময় কি বিজ্ঞান বিজ্ঞানের, জয়যাত্রা ইংরেজিতেও বেশ কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক রচনা করেছিলেন তিনি 2003 সালে প্রকাশিত হয় তাঁর পবিত্র আল-কুরআনের বাংলা কারো প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বেশ কয়েকটি সহযোগী,
পাঠ্যপুস্তক রয়েছে ভ্রমণ মূলক রচনা চীন সফরের রোজনামচা মোঃ কুদরত-ই-খুদা পারিবারিক জীবন শুরু করেছিলেন, কলেজ জীবনে প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি আক্রমণের সম্মেলনে ডাক্তারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আক্রমণ এসেছিলেন ভারতের অধিবাসী প্রখ্যাত আইনজীবী আলহাজ্ব কাজী গোলাম আহমেদ এর কনিষ্কদা কুদরত-এ-খুদা আকরামুন্নেছা দম্পতির দুই পুত্র ও চারকোনা রয়েছে পাকিস্তান বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিচালক সংগঠক হিসেবে দেশের, বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা বর্জ্য কৃষিজ ও খনিজ সম্পদের সর্বোত্তম সঠিক ব্যবহারের জন্য তিনি গবেষণা করেন বড় সুদি ও গাছ গাছরার গুনাগুন কাঠ কয়লা ও মৃত্তিকা লবণ বানানো খনিজ পদার্থ নিয়ে গবেষণা করেন স্থানীয় বিভিন্ন গাছ-গাছড়া থেকে জৈব রাসায়নিক উপাদান নিষ্কাশনে সক্ষম হন তিনি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে ঘড়ি থেকে কাগজ তৈরি তার গবেষণার ফল পাটকাঠি থেকে পারটেক্স উৎপাদন চিটাগুড় ও তালের গুড় থেকে ওল্ড বেকার প্রস্তুত ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার বিজ্ঞানী হিসেবে ডঃ মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা ও তার সহকর্মীদের আধুনিক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে রয়েছে প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থার, পরিবর্তন
Post a Comment