ইবনে সিনার জীবনী 


শহরবাসীর নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া শুরু করলো শহরের, অলিতে গলিতে ঘোষণা করে দেয়া হলো যে বিনা প্রয়োজনে কেউ যেন ঘরের বাইরে না যায় যেসব স্থানে গণজমায়েত হয় যেমন হাট-বাজার স্কুল কলেজ খেলার মাঠ ইত্যাদি স্থান গুলো বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হলো এবং পরিধান করা কাপড় চোপর ও মুদ্রাগুলো সিরকা দিয়ে ধৌত করার কথা বলা হল এবং শক্তভাবে নির্দেশ করা হল যে মহামারীতে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ মানুষ থেকে যেন 40 দিন পর্যন্ত আলাদা রাখা হয়, দিকনির্দেশনা কেনার বায়না কোয়ারেন্টাইন নাম দেওয়া হল এখানে কিন্তু 2020 সালের করণা মহামারীর কথা বলা হচ্ছে না এখানে বলা হচ্ছে 11 শতাব্দীতে ইরানের একটি শহরে, মহামারী ছড়িয়ে পড়ার ঘটনার কথা আর এই দিকনির্দেশনা যিনি, দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন জগৎ বিখ্যাত দার্শনিক বিজ্ঞানী ও চিকিৎসা জনক ইবনেসিনা 2020 সালের শুরুতে যখন করোনাভাইরাস পুরো দুনিয়াকে ধীরে ধীরে নিজের আয়ত্তে নেয়া শুরু করে তখন আমরা কোয়ারেন্টাইন সেল্ফ, আইসোলেশন ও সোশ্যাল ডিসটেন্স ইত্যাদি শব্দগুলোর প্রচুর প্রচলন দেখতে পেলাম গুগল-সার্চে কোয়ারেন্টাইন শব্দটির চার্জ 100 গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল তখন অনেকেই দাবি করলেন যে এই কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতিটি ইবনে সিনায় সর্বপ্রথম চালু করেন কিন্তু সত্যিই কি ইবনে সিনা সর্বপ্রথম কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতি চালু করেছিলেন কেন সিনাকে ফাদার অফ মডার্ন মেডিসিন বলা হয় আজকের এই পৃথিবীতে আপনার জ্ঞানের অবদান কতোটুকু এইসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে বিডিসি আপনাকে স্বাগতম ইবনেসিনা বলি না যাকে পশ্চিমা বিশ্বে ইভিসি না নামের স্মরণ করা হয় তার,

ইবনে সিনার জীবনী

পুরো নাম হল আবু আলী আল হুসাইন ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে সিনা তিনি 980 খ্রিস্টাব্দে বর্তমান উজবেকিস্থানের বোখারার, নিকটবর্তী স্থানে গ্রহণ করেন ইসলামী ইতিহাসের সোনালী যুগের শতাব্দি পর্যন্ত বগুড়া শহর ইলম বা জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রাণকেন্দ্র ছিল ওই সময়ে মুখারাতে সামারি সালতানাতের রাজত্ব ছিল যার স্থায়িত্বকাল ছিল 819 থেকে 999 খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত সময়ে অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি সামান সালতানাতের ছায়াতলে নিজেদেরকে আর বিজ্ঞানের চর্চা করতেন তাদের মধ্যে বিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী দার্শনিক আল রাজি এবং বিখ্যাত ফার্সি কবি ফেরদৌসী ছিলেন অন্যতম এই সময়টি ছিল মুসলমানদের জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান রাজনীতি ও সামরিক শক্তির এক স্বর্ণযুগ অথচ একই সময়ে ছিল জাহিলিয়াত কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকার কূপে বিজ্ঞানের জগতে গ্রিক দার্শনিক বিজ্ঞানীরা অনেক অবদান রেখে গিয়েছিলো কিন্তু গ্রীক সভ্যতার বিলুপ্তির পর পরই ইউরোপের অলিগলি পুনরায় অন্ধকারে থেকে গিয়েছিল যার উদাহরণ এমন একটি ঘটনা থেকে পাওয়া এক মহিলার প্রচণ্ড মাথাব্যথা চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়ার মত করে তার মা তাকে কেটে ফেলা হয় পরে ব্যথা নিরাময়ের জন্য মাথার ভেতরে লবণ ঢেলে দেওয়া হয় বলাই বাহুল্য পরবর্তীতে এই মহিলার পরিণতি কি হয়েছিল ইবনেসিনা ছোটবেলা থেকে খুবই মেধাবী ছিলেন 10 বছর বয়সেই তিনি পুরো,

 কুরআন মাজীদ ইউজ করে ফেলেন এবং তার সাথে অন্যান্য লেখাপড়া চালিয়ে যেতে লাগলেন তিনি এতই মেধাবী ছিলেন যে তার ওস্তাদের অনেক সময় তার বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়ে আটকে যেতেন কোরআনের পাশাপাশি তিনি ফিকহের এলবো, অর্জন করেছিলেন একই সাথে তিনি বিজ্ঞান দর্শন অর্থনীতি রাজনীতি ধর্মতত্ত্ব ও গণিত জ্যামিতি সহ কাব্য ও সাহিত্য অসামান্য পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন যেখান থেকে অবড় করে তুলেছে তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞান ও দর্শনের পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টোটলের দর্শন গবেষণা ও বিভিন্ন শক্তির একক প্রভাব ছিল অ্যারিস্টোটলের লেখা বই ইবনে সিনার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ এর মত ছিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত 40 আর করেছিলেন এমনকি বইটির প্রতিটি শব্দ তার মস্তিষ্কে গেঁথে, গিয়েছিলো তবুও এই বইয়ের মর্মকথা পুরোপুরি বুঝে আসতোনা ভাগ্যবশত একদিন বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক আল ফারাবীর একটি বই তার হাতে এসে যায় যে বইটি ছিল মূলত অ্যারিস্টোটলের মেটাফিজিকস বইয়ের এই বই পড়ার পর মেটাফিজিকস এর আগাগোড়া সম্পূর্ণ কিয়া তার আয়ত্তে চলে আসে তারপর একটা সময় আসে যখন মানুষ অ্যারিস্টোটলের লজিক এর,

                                                                                                 

ইবনে সিনার জীবনী

 পরিবর্তে ইবনে সিনার বিভিন্ন দলিল ও লজিকে গ্রহণ করা শুরু করল এবং পুরো পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পিপল সিনহার বই পড়ানো শুরু হলো ষোলো বছর বয়সে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই ইবনে সিনা চিকিৎসাবিজ্ঞানে আগ্রহী হওয়া শুরু করলেন এবং চিকিৎসার বিভিন্ন বই পড়া শুরু করলেন লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রোগীকে দেখতেন আর চিন্তা করতেন এমন কোন কারণ রয়েছে যায় সুস্থ দেহ ওকে বিছানায় শুইয়ে দেয় এতে করে চিকিৎসা বিজ্ঞানী তার দক্ষতা দিন দিন বাড়তে লাগল 18 বছর বয়সে পৌঁছাতে একজন দক্ষ চিকিৎসক হিসেবে চতুর্দিকে তার সুনাম ছড়িয়ে পরলো একবার বুখারার বাদশা কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে দেশ বিদেশের সকল চিকিৎসক বাচ্চাকে নিরাময় ব্যর্থ হয় পরে ইবনে সিনায় বাচ্চা কে সুস্থ করে তুলেছিলেন তারপর বুখারার রাজদরবারে শাহিদা আক্তার হিসেবে তিনি নিয়োগ পেয়ে যান মাত্র 18 বছর বয়সে তিনি, সফলতার এমন পর্যায়ে পৌঁছে যান যেখানে পৌঁছানোর জন্য বর্তমান সময়ের সকলেই দিনরাত স্বপ্ন দেখতে থাকে নামডাক, যশ-খ্যাতি এবং সরকারের সবচেয়ে উচ্চ পদস্থ ডাক্তার হিসেবে ইবনেসিনা নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মাত্র 18 বছর বয়সে এখানেই থেমে থেমে যেতে পারতেন যদি তাই করতেন তাহলে আজ এক হাজার বছর পরে আমরা তার জীবনী নিয়ে আলোচনা

 করতাম না তিনি থেমে নাকি মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ নিয়ে গবেষণা করতে লাগলেন জ্ঞান বিজ্ঞানের গবেষণার রাস্তায় একটি বাস্তবতা হলো ইবনেসিনা হন অথবা আইনস্টাইন 1000 বছর আগের যুগ হোক অথবা মর্ডান দুনিয়ায় হোক গবেষণার জন্য প্রয়োজন পড়ে বড় ধরনের ফান্ডিং এর এরকম ফান্ডিং সরকার ছাড়া সাধারণত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গবেষণার ব্যয় ভার বহন করা সহজতর হয় না এখনকার যুগে দাও উন্নত দেশগুলো বিভিন্ন গবেষণায় তাদের ফান্ড খরচ করছে কিন্তু ইবনে সিনার সময় বড় বড় সালতানাত তাদের ফান্ড খরচ করত শুধুমাত্র নিজেদের শাহী মহল আর সেনাবাহিনীর জন্য সেজন্য ইবনেসিনা ঠিকমত গবেষণা চালিয়ে যেতে পারতেন না তবুও ইবনে সিনা রাজদরবারের প্রধান ডাক্তার হওয়ায় এবং বাসার কাছে তিনি অনুরোধ করায় তাকে শাহী কুতুবখানার চাবি দিয়ে দেওয়া হলঃ সাহিত্যিক খানাতে এত এত বই ছিল যা দেখে ইবনে সিনার নিজেই হয়রান হয়ে গিয়েছিলেন দিনরাত এক করে তিনি কুতুবখানায় বই পড়তেন আর নিজের জানি সমুদ্রকে বিশাল থেকে বিশালগড় করে গেলেন এর কয়েক বছর পরেই সামান্তা নতে আক্রমণ হয় এবং

 সালতানাতের অন্তিম সময়ে এসে পৌঁছে যায় তারপর ইবনে সিনাকে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে হলো কারণ অভিযোগে বিজয়ী বাদশা পুরো বাদশার আমলাদের হয় হত্যা করতেও নতুবা জেলখানার কয়েদি হিসেবে আজীবন বন্দি করে রাখ একই, কারণে ইবনে সিনাকে বারবার এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ভ্রমণ করতে হয়েছিল এমনকি তাকে জেলেও যেতে হয়েছিল কারণ ইবনেসিনা যেখানে ডাক্তারি এবং শিক্ষকতা করতেন সেখানে একই সাথে রাজদরবারের আমলা হিসেবেও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতেন ইবনে সিনা তার এক জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের অবদান রেখে গেছেন তবে যেসব অবদানের কথা উল্লেখ না করলেই ভিডিওটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে তাহলে ও চিকিৎসা বিজ্ঞান দর্শন এবং ধর্মতত্ত্ব ইবনে সিনা আনুমানিক 450d বই লিখে গেছেন যার মধ্যে বর্তমানে 240p বই সংগ্রহীত আছে এর মধ্যে দুটি বই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যা কিনা পুরো দুনিয়াতে,

                                                                                                

 আলোড়ন করেছে প্রথম বইটি হল আল কানুন ফিততিব এটিকে ইংলিশে দেখ ক্যানন অফ মেডিসিন নামে ডাকা হয় বিশাল, আকারের এই বইয়ে তিনি পূর্ববর্তী সময়ে গ্রীক ও রোমানদের চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে শুরু করে চিন ভারতবর্ষের বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেন 1025 দিল্লিকা এই বইটি প্রকাশের 6 শতাব্দি পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূল পাঠ্য পুস্তকে পড়ানো হয় বারোশো শতাব্দীতে বইটিকে তিন ভাষায় অনুবাদ করা হলে পুরো ইউরোপের সকল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পড়ানো শুরু হয় গ্রন্থটি সর্বমোট খন্ডে বিভক্ত প্রথম খন্ডের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বিবরণ এবং তাদের কাজ সমূহ বর্ণনা করেন দ্বিতীয় খন্ড বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ঔষধ সম্পর্কে, আলোচনা

ইবনে সিনার জীবনী

করেন তৃতীয় ও চতুর্থ খন্ড মানুষের পা থেকে মাথা পর্যন্ত যে সকল, রোগ হতে পারে তা তুলে ধরেন এবং সে সকল রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেন পঞ্চম খন্ড বিভিন্ন ঔষধ তৈরীর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন ইবনে সিনা তার আল-কানুন গ্রন্থের মাধ্যমে মানব স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত, যাবতীয় জ্ঞানকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন মূলত তাঁর এই গ্রন্থের মাধ্যমে চিকিত্সা সংক্রান্ত বিশ্বকোষ রচনা সূচনা হয় চিনা তার সময়ে হাসপাতালগুলোকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন বিভিন্ন রোগের জন্য পৃথক পৃথক হাসপাতাল বা পৃথক কেবিনের সূচনা তিনি প্রথম করেন তিনি যেসব রোগের চিকিৎসায় পিসি গবেষণা করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ক্যান্সার টিভি এবং ছোঁয়াচে রোগ একজনের দেহ থেকে অন্য জনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে রোগীর যাতে কষ্ট না হয় সে জন্য রোগীকে অফ, 


চিকিৎসা দেওয়ার পদ্ধতি এনেসথেসিয়া সর্বপ্রথম ইবনে সিনায় শুরু করেন এটা ছিল সেই সময় যখন ইউরোপের রোগীকে অজ্ঞান করার কোন পদ্ধতি তাদের জানা ছিল না এছাড়াও তিনি মানুষের চোখ ও হার্টের বিভিন্ন অসুখের ওপর গবেষণা, করেছেন আজকের যুগে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা ডিপ্রেশন নিয়ে খুবই মাতামাতি করি এক হাজার বছর পূর্বে ইবনেসিনা ডিপ্রেশনকে একটি অসুখ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং এই ডিপ্রেশনের চিকিৎসাতেও তিনি যথেষ্ট গবেষণা করেছেন তাঁর রচিত দ্বিতীয় বিখ্যাত, বইটি হলো কিতাব আল শিফা আল-কানুন পৃথিবীতে যেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিশ্বকোষ বলা হয় সেখানে আল-শিফা বই কে সায়েন্স ও ফিলোসফির শ্রেষ্ঠ বই হিসেবে গণ্য করা হয় চার অংশে বিভক্ত এই বইয়ে তিনি আলোচনা করেন লজিক ন্যাচারাল সাইন্স ম্যাথমেটিক্স অর্থাৎ গণিত এবং মেটাফিজিকস অর্থাৎ দর্শন নিয়ে বিজ্ঞানের অঙ্ক ফিজিক্স কেমিস্ট্রি বায়োলজি এসব নিয়ে আলোচনা করেন আর গণিতের অংশে পাটিগণিত, জ্যামিতি জ্যোতির্বিজ্ঞান ও সঙ্গীত নিয়ে আলোচনা করেন আলোচিত বিষয়বস্তু ছিল এক একটি গভীর সমুদ্র অনেকের মতে নিউটনের বিভিন্ন গবেষণা মূলত, ইবনে সিনার গবেষণার অনুকরণ, ছিল এবার দেখা যাক সে প্রথম প্রশ্নের জবাব আমরা ভিডিওর শুরুতে আপনাদের সামনে,

 রেখে ছিলাম মূলত মহামারী থেকে বাঁচার জন্য সামাজিক দূরত্ব আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ থেকে আলাদা রাখা মহামারী আক্রান্ত স্থানে অন্য দিকে না যাওয়া ইত্যাদি ইবনে সিনার যুগের অনেক পূর্বেও ছিল এমনকি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস মোবারক ইউ পাওয়া যায় যে মহামারী আক্রান্ত শহরে বাইরের কেউ প্রবেশ না করা এবং আক্রান্ত শহর থেকে ইউ কিরে না যাবার নির্দেশনা তাই এটা বলা উচিত হবে না যে ইবনে সিনায় সর্বপ্রথম মহামারীর জন্য কোয়ারেন্টিন বা এরকম কোন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তবে ইবনে সিনা আধুনিক হাসপাতাল সিস্টেমের বুনিয়াদ রেখেছিলেন তিনি আলাদা আলাদা রোগের জন্য আলাদা কেবিন হাসপাতাল সিস্টেম চালু করেন হতে পারে মহামারীতে আক্রান্ত রোগী তিনি চিহ্নিত করে আলাদা, রেখেছেন অন্য সাধারন রোগীদের আলাদা রেখেছেন আর মহামারীর সময় সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা


 দিয়েছেন ইবনে সিনাকে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয় মূলত তাঁর হাত ধরেই আধুনিক যুগের এই চিকিৎসা, পদ্ধতির শুরু হয়েছিল ইবনেসিনা 1700 সালে ইরানের হামদান শহরে ইন্তিকাল করেন অসুস্থ অবস্থায় জীবনের শেষ সময়ে, এসে তিনি নিজের গোলাম আজাদ করে দেন সহায় সম্পত্তি দান করে দেন এবং শেষ মুহূর্তে কোরআনে করিম তেলাওয়াত করতে করতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ইবনে সিনার একটি বিখ্যাত উক্তি হলো দুশ্চিন্তা করা হলো এক প্রকার রোগ শান্ত থাকা এক প্রকার ওষুধ আর ধৈর্য ধরাটা হলো নিরাময়ের শুরু মানবজাতির জন্য ইবনে সিনার অবদানের প্রতিদানস্বরূপ আজ, পৃথিবীতে শতশত মেডিকেল এবং ইস্কুল কলেজ পরিচালনা করা হয় ইবনে সিনার নামে এবং বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় ইবনে সিনার নামে 2002 সালে ইউনেস্কো ইথিকস ইনশা ইবনেসিনা অ্যাওয়ার্ড চালু করে যা প্রতি দুই বছর পর পর দেওয়া হয়ে থাকে |

Post a Comment

Previous Post Next Post