স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর জীবনী
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে, বেতার টেলিগ্রাফ এর আবিষ্কারক হিসেবে মার্কনী কে স্মরণ করে থাকে সবাই কিন্তু এক বাঙালি বিজ্ঞানী ও যে সেই সময়ে অনুরূপ গবেষণার, জন্য বেতার এর আবিষ্কারক হতে পারতেন সেটা সবারই, অজানা আমি বলছি সেই নিরহংকারী বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর কথা যন্ত্রের আবিষ্কার করলেও পেটেন্ট এর প্রতি বিশেষ অনুরাগী ছিলেন না এমনকি রেডিও সিগন্যাল শনাক্তকরণের সেমিকন্ডাক্টর এর ব্যবহার বিষয়ে তার করা গবেষণাপত্র তিনি উন্মুক্ত করে যান যেন অন্যান্য বিজ্ঞানীগণ এইটা নিয়ে গবেষণা করতে পারেন না হলে আজ গোটাকয়েক প্যাটেন্টের,
অধিকারী হতে পারতেন মহাত্মা সহকর্মীদের অনেক অনুরোধের পর মাত্র একটি প্যান্টে সই করেন এই মহান বিজ্ঞানী তার সম্পর্কে ঘুরতে গিয়ে বহু তথ্য পাওয়া যায় যা অনেক বাঙালির কাছেই অজানা ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে যে কয়েকজন বৈজ্ঞানিক এর কথা জানা যায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম, তিনি ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের কাছে জে সি বোস নামে পরিচিত তিনি তাঁর সময়ে বাঙালি বিজ্ঞানীদের মধ্যে পরীক্ষাভিত্তিক বিজ্ঞান চর্চায় ছিলেন অগ্রগণ্য তিনি প্রথম প্রমাণ করেন যে প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে চলুন তার জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কিছু তথ্য, জেনে নেই তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলা প্রেসিডেন্সির বর্তমান বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জে হাজার 1858 সালের 30 নভেম্বর, এ জগদীশচন্দ্র বসুর জন্ম পিতা ভগবান চন্দ্র বসু ছিলেন তৎকালীন ব্রাহ্ম সমাজের একজন বিশিষ্ট সদস্য চাকরি করতেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের এবং একই সাথে ছিলেন
ফরিদপুর বর্ধমান সহ কয়েকটি এলাকার সহকারী কমিশনার ব্রিটিশ আমলের জন্ম নিয়েও, জগদীশচন্দ্রের শিক্ষাজীবন শুরু হয় স্বদেশী ভাষায় অর্থাৎ বাংলা ভাষায় সেই সময়ে অভিভাবকেরা নিজের সন্তানকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ছিলেন সবসময় তৎপর জগদীশচন্দ্রের এই পারিপার্শ্বিকের থেকে উল্টো স্রোতে গা ভাসানো অর্থাৎ বাংলা ভাষায় শিক্ষা জীবন শুরু করতে তার পিতার ভূমিকা ছিল মুখ্য পিতা ভগবান চন্দ্র বসু বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষা গ্রহণের জন্য সর্বপ্রথম চাইনিজের মাতৃভাষাকে ভালভাবে রপ্ত করা এবং দেশপ্রেমকে অন্তরে ধারণ করা তারপর না হয় বিদেশী ভাষা শেখা যাবে সেই যুগে এমন চিন্তা ভাবনার কথা কেবল কোন স্বদেশপ্রেমিক এর মুখেই মানাত হাজার 900 15 সালে বিক্রমপুরে কনফারেন্সে বক্তৃতায় বলেছিলেন আমাদের সময়ে সন্তানদের, ইংরেজি স্কুলে ভর্তি করানো ছিল আভিজাত্যের প্রতীক যেসব স্কুলে আমাকে ভর্তি করে দেয়া হয়েছিল
সেই স্কুলে আমার ,ডান পাশে বসতো আমার পিতার মুসলিম পরিচারকের ছেলে এবং আমার বাম পাশে বসতো একজন জেলের ছেলে তারাই ছিল আমার খেলার সাথি আমি সম্মোহিতের মত সন্তান পশু পাখির গল্প জলজ প্রাণীদের গল্প হয়তো এই গল্পগুলোই আমাকে প্রকৃতির কর্মকাণ্ড নিয়ে গবেষণা, করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল যখন আমরা ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরে আসতাম আমার মা আমাদের একসাথে খাবার খেতে দিতেন আমার মা শর্ম পরায়ন, এবং প্রধান সম্মত গৃহিণী ছিলেন কিন্তু ধর্ম নিয়ে গোঁড়ামি করা তার স্বভাব ছিল না তাই তিনি তার ছেলের সঙ্গী অস্পর্শ বালকদের প্রতি ছিলেন যথেষ্ট মমতাসিন পরবর্তীতে 8889 সালে, জগদীশচন্দ্র কলকাতায়, হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন এবং এরপর ভর্তি হন সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল পরবর্তীতে 875 সালে তৎকালীন প্রবেশিকা যা বর্তমানে মাধ্যমিক সমানে সমান পাস করে ভর্তি হলেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে এবং এরপর সুযোগ পেলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ক্রিস্টান যাজক বাফাদার ইউজিন লোভ সান্নিধ্য লাভ করেন তিনি এবং তার প্রকৃতির প্রতি অনুসন্ধান করার মানসিকতা তৈরি হয় ফাদারের অভাবেই,
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়ে বসেছিলেন ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে যোগ দিতে কিন্তু বাদ সাধলেন তার বাবা যদিও তার বাবা নিজেই ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে এমন কিছু করুক যেন কারও অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে নিজের কাজ নিজে করতে পারে সেই সুবাদে বোর্ড চলে গেলেন ইংল্যান্ডের এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হলেন কিন্তু বেশিদিন পড়তে পারলেননা মেডিসিন পড়াকালীন অবস্থায় প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়তেন তিনি লাশ ঘরের লাশ ঔষধের তীব্র দুর্গন্ধ তার এই অসুখের আরো বৃদ্ধি করেছিল ফলে শেষটায় ছেড়ে যেতে হয় তাকে পরবর্তীতে তৎকালীন ভারতের বিশিষ্ট বির্তকিত জগদীশচন্দ্র বোনের স্বামী আনন্দমোহন বসুর সুপারিশ ক্রমে ক্যামব্রিজের প্রাইস কলেজে ভর্তি হলেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যাচারাল সাইন্স লাভ করলেন বিএ ডিগ্রি হাজার 1884 সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রি এবং তারপর হাজার 1896 সালে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন,
পদার্থবিজ্ঞান রসায়ন ভূতত্ত্ব ও জীববিজ্ঞান এর সম্পত্তি রূপে ন্যাচারাল সাইন্স এর পরিধি ক্যামব্রিজের ছাত্র শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন নোবেল বিজয়ী লর্ড রেলে মাইকেল ফস্টার জেমস দেওয়ার ফ্রান্সিস ডারউইন ফ্রান্সিস ব্যবহার এবং ফিলিপাইনসহ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ কে যখন বস ক্যামব্রিজের ছাত্র ছিলেন ঠিক সেই সময়ে বাংলার আরেক কিংবদন্তি রসায়নবিদ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এডিনবার্গের ছাত্র ছিলেন লন্ডনে থাকাকালীন তাদের দুই জনের পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতার সূত্রপাত বুশ পরবর্তীতে বিশিষ্ট নারী আন্দোলনের প্রবক্তা ও সমাজকর্মী অপনা বয়সের সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন 885 লেখাপড়া শেষে ভারতে ফিরে আসেন সেই সময়ে লর্ড রিপনের অনুরোধে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক হিসেবে যোগদান চাকরিতে ঢুকে তিনি কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র সাম্প্রদায়িকতা অনুভব করেন কারণ ব্রিটিশ অধ্যাপক যেত সেই তুলনায় তার বেতন ছিল নগণ্য এই ব্যবস্থা তিনি মেনে নিতে পারেননি তাই প্রতিবছর প্রায় তিন বছর কোনো বেতন গ্রহণ করেননি কিন্তু অধ্যাপক এর কাছ থেকে বিচ্যুত হননি এই তিন বছর তিনি শিক্ষার্থীদের পরিয়ে গিয়েছেন বেতন ছাড়াই পরে পাবলিক ইন্সট্রাকশন ও প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষের চেষ্টায় তাকে স্থায়ীভাবে অধ্যাপক হিসেবে নিয়ে নেয়া হয় এবং তার তিন বছরের পুরাতন দিয়ে দেয়া হয় এমনই ছিলেন,
সেই সময়ে প্রেসিডেন্সি কলেজের আরো কিছু স্বল্পতা ছিল সেখানে ছিল না কোনো ভালোমানের ল্যাবরেটরি নাছিল মৌলিক গবেষণা করার সুযোগ কিন্তু বোস কলেজের সহায়তার আশায় বসে থাকেননি তিনি নিজেই গবেষণার জন্য নিজের টাকায় ফ্যান তৈরি করে নেন 1994 সালে তিনি আর্জিয়ান তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা করে আবিষ্কার করেন মিলিমিটার তরঙ্গের হিসেবেও তার অবদান কম নয় তার স্নেহধন্য ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু মেঘনাথ সাহা জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ শিশির কুমার মিত্র দেবেন্দ্রমোহন বসু সহ আরো অনেকে পরবর্তীতে এরা সবাই বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে গেছেন স্কটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ম্যাক্সওয়েল বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের অস্তিত্ব গাণিতিকভাবে প্রমাণ করতে পেরেছিলেন কিন্তু সেই তথ্য পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণ হওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন পরবর্তীতে 1886 থেকে হাজার 1818 সালের মধ্যে জার্মান পদার্থবিদ তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ উপর করা তার পরীক্ষার গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন এবং শূন্যস্থানে তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ অস্তিত্ব প্রমাণ করেন হার্জের মৃত্যুর পরে ব্রিটিশ পদার্থবিদ অলিভার তড়িৎ চুম্বক নিয়ে
আরও গবেষণা করেন এবং আর্জিয়ান তরঙ্গের আপাত আলো প্রকৃতির কথা তুলে ধরেন তিনি আরো বলেন এই তরঙ্গ দৃশ্যমান আলোর মতোই প্রতিফলন প্রতিসরণ এর মত বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে গঠিত সেই সময় তার এই গবেষণা বউ সহ আরো অনেক বিজ্ঞানীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল জগদীশচন্দ্র গবেষণাকে আরো উন্নত করেছিলেন তিনি দেখলেন তরঙ্গের আলো প্রকৃতির ব্যাখ্যায় বৃহৎ দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ খুবই অনগ্রসর তাই তিনি তরঙ্গকে মিলিমিটার পর্যন্ত রাস করলেন প্রায় পাঁচ মিলিমিটার হাজার 1894 এর কোন এক নভেম্বরে বসতে মিলিমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ দিয়ে কলকাতা টাউন হলে গানপাউডার প্রচলিত করেন এবং টাউন হল থেকে 75 ফুট দূরে অবস্থিত এ কি ঘণ্টা বাজাতে সক্ষম হন বলাবাহুল্য যে ঘন্টা বাজানোর জন্য এই তরঙ্গ কে একটি দেয়াল টপকে হয়েছিল এই ক্ষুদ্র তরঙ্গের উপর তাঁর লেখা ইনভিজিবল লাইট বইটিতে তিনি লিখেছেন যে অদৃশ্য আলো অর্থাৎ ক্ষুদ্রতরঙ্গ সহজেই ইটের দেয়াল এমনকি দাঁড়ান ভেদ করে বেরিয়ে যেতে পারে ফলে এর সাহায্যে সহজেই তার ছাড়াই যেকোন বার্তা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণ করা যেতে পারে লজের গবেষণাপত্র প্রকাশ এর প্রায় এক বছরের মধ্যেই হাজার 1895 সালের মে মাসে বুস্টার প্রথম গবেষণাপত্র অন্ড পোলারাইজেশন অফ ইলেকট্রিক বাইক রেসিং ক্রিস্টালস প্রকাশ করেন একই বছর অক্টোবর মাসের তৃতীয় গবেষণা পত্রটি লন্ডনের হাত দিয়ে বসে লন্ডনের রয়েল সোসাইটি দে হাজার 1995 সালের ডিসেম্বরে লন্ডনের ইলেকট্রিক সিএন নামক জার্নালে তাঁর রচিত অন এ নিউ ইলেক্ট্রন পলাইস প্রকাশ হওয়ার পর ইলেকট্রিশিয়ান মন্তব্য করেছিলেন সেটি প্রফেসর্স অন্ড সুইচিং 150 এসকোয়ার উইমেন সাউন্ড সিস্টেম অফ লাইটিং সলিউশন অফ বেঙ্গলি সাইন্টিস ওয়ার্কিং single-handedly,
প্রেসিডেন্সি কলেজ ল্যাবরেটরী জগদীশচন্দ্র বসু গবেষণাটি যথাযথভাবে করতে পেরেছিলেন কিন্তু প্রেম করতে পারেননি খুব ভালোভাবে বলতে গেলে, পেটেন্ট করতে চাননি তিনি এরপর লন্ডনে গিয়ে তার পরিচয় হয় বিজ্ঞানী মার্কনির সাথে মার্কনী অনেকদিন থেকেই বেতার টেলিগ্রাফ নিয়ে কাজ করছিলেন এই টেলিগ্রাফ তিনি ব্রিটিশ সার্ভিসের জন্য উন্নত করতে চেয়ে ছিলেন অনেকটা ব্যবসায়িকভাবে সেখানে বোস বাণিজ্যিক টেলিগ্রাফের প্রতি অনীহা প্রকাশ করেন তার মতে বিজ্ঞান শিক্ষা গবেষণা কে ব্যবসায়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা উচিত নয় অন্যদের তার গবেষণাপত্র নিয়ে কাজ করতে ও পরামর্শ দেন অথচ একবারও নিজের গবেষণার লিকার দিয়ে ভাবেননি পরে 1899 সালের রয়েল সোসাইটি একেবারে তিনি তার আয়রন মার্কারি আয়রন কোয়েরিজেলেক্টর নামক গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেন মূলত রেডিও মাইক্রো ওয়েভ অপটিকস এর তাত্ত্বিক দিক নিয়ে গবেষণা করা অর্থাৎ তিনি তার গবেষণায় এই তরঙ্গের প্রকৃতি ও প্রণালী করতে সক্ষম হয়েছিলেন কিন্তু তিনি তার গবেষণার দ্বারা যোগাযোগের, উদ্দেশ্যে বেতার যন্ত্রের উন্নয়নের দিকে কোন ইচ্ছা বা পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি মজার ব্যাপার
হচ্ছে তিনি যখন একদিকে বেতার তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন অন্যদিকে তখন মাননীয় গবেষণা করে যাচ্ছেন একই বিষয়ে শুধু পার্থক্য হচ্ছে বোস করছেন তাত্ত্বিক গবেষণার 30 যন্ত্রের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তিত নয় কিন্তু মার্কনী বেতার যন্ত্র উন্নত করে রীতিমতো হুলুস্থুল করে ফেলেছেন এবং বেতন টেলিগ্রাফের উন্নয়নে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছেন সমসাময়িক সময়ে অন্যান্য বিজ্ঞানীরাও রেডিও তরঙ্গের ব্যবহার নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন যেমন রাশিয়ার বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার স্তেপানোভিচ রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে বজ্রপাত ডিটেক্টর তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন রেডিও যন্ত্র উন্নয়নের প্রতি কোনো আকর্ষণ ছিল না এমনকি তিনি নিজের গবেষণাপত্র অন্যান্য বিজ্ঞানীদের সুবিধার্থে উন্মুক্ত করে দিতেন প্রতি তার তীব্র চোখ বা অনুরোধ ছিল না এরই ধারাবাহিকতায় তিনি তার আবিষ্কৃত গ্যাস ডিটেক্টর কার্যপ্রণালী নিজের লেকচার বিবৃত করেন তার একজন আমেরিকান বন্ধু এই যন্ত্রটি জনতাকে প্যাটেন দিতে বলেছিলেন কিন্তু তিনি সেটা করেননি রেডিও গবেষণায় উল্লেখ যোগ্য অবদান হচ্ছে তিনি সর্বপ্রথম রেডিও তরঙ্গ শনাক্তকরণে সেমিকন্ডাক্টর জংশন ব্যবহার করেন এখনকার সময়ের অনেক মাইক্রোওয়েভ যন্ত্রাংশের আবিষ্কার কর্তা তিনি তাঁর গবেষণা থেকে হাজার 1954 সালে পেরসন ও প্রাচীন রেডিও তরঙ্গ শনাক্তকরণের জন্য সেমিকন্ডাক্টর ক্রিস্টাল ব্যবহার করেন জগদীশচন্দ্র একবার কলকাতায় মিলিমিটার তরঙ্গ ব্যবহার করে দূরে এসে ঘন্টা বাজিয়ে ছিলেন 1897 সালে লন্ডনের রয়েল ইনস্টিটিউশনে তিনি তার এই কাজের ব্যাখ্যা করেন সে সময় তিনি করে গাড়ির হরেন চেনা যায় ইলেকট্রিক লেন্স পোলারাইজার এবং সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহার করেছিলেন যাদের দ্বারা তৈরি তরঙ্গের কম্পাঙ্ক হয়েছিল প্রায় 60 গিগাহার্জের মত তার তখনকার আবিষ্কৃত বেশ কয়েকটি যন্ত্র 91c নিশ্চিত,
সংরক্ষিত আছে জেনে অবাক হতে হয় যে তার সেই গবেষণা থেকেই তৈরি হয় 1.3 মিলিমিটার মাল্টিপল রিসিভার এখন আমেরিকার অ্যারিজোনায় অবস্থিত সম্পর্কে বলতে গিয়ে নোবেল বিজয়ী স্যার ডেভিড বলেছেন যে তার নিজের সময় থেকেও আরো 60 বছর পরের চিন্তাভাবনা করেছিলেন প্রকৃতপক্ষে তিনি আজকের টি-টোয়েন্টি সেমিকন্ডাকটরের দূর্দর্ষণ করতে পেরেছিলেন সেই সময়ে নেভি মডক হাজার 1977 সালে solid-state এলেক্ট্রনিকস অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন তাঁর এই গবেষণার পেছনের গবেষণার বেশ প্রভাব ছিল বিজ্ঞানের অবদান এর মধ্যে এক বিরাট অংশজুড়ে আছে জৈব পদার্থ বিদ্যা তিনি গবেষণা করে দেখিয়েছিলেন যে উদ্ভিদের উপর বিভিন্ন প্রকার বাহ্যিক প্রভাবকের প্রভাবে ইলেকট্রন প্রবাহ এর ঘটনা ঘটতে পারে একে একসময়ের রাসায়নিক ক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা হতো এই ধারণাকে পরবর্তীতে পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন এছাড়াও তিনি ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি উদ্ভিদের শিশুর উপর মাইক্রোওয়েভ এর প্রভাব এবং এর ফলে কোর্স মেমব্রেনের বিভাগ সেল মেমব্রেন পটেনশিয়াল পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করেন মেমব্রেনের বলতে বোঝায় কোন অন্তত ত্বক ত্বকের ভেতর গঠিত তড়িৎ বিভবের পার্থক্য 190 বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অবস্থায় এবং বিভিন্ন সময়ে কোষ মেমব্রেন বিভবের পর্যবেক্ষণ করে অনুমিত করেন যে উদ্ভিদ ও প্রাণীর মতো বাহ্যিক প্রভাবকের প্রভাবে সারা দিতে সক্ষম অর্থাৎ তাদের ভেতর কিছু সাদৃশ্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তারা ব্যথা অনুভব করতে সক্ষম আনন্দ অনুভব করতে সক্ষম এমনকি স্নেহ অনুভব করতেও সক্ষম তিনি আরো প্রমাণ করেন যে উদ্ভিদের একটি সঠিক জীবন চক্র এবং প্রজনন তন্ত্র রয়েছে যা প্রাণীর অনুরূপ
তার এই গবেষণাপত্র, তখন লন্ডনের রয়েল সোসাইটি তে স্থান করে নিয়েছিল উদ্ভিদের তাপশি ভালো শব্দ ও অন্যান্য অনেক বাহ্যিক উদ্দীপনায় সাড়া প্রদান করতে পারে সেই কথা বোর্ড প্রমাণ করে দেখেছিলেন আরে প্রমাণের জন্য নিজেই তৈরি করেছিলেন ক্রেস্কোগ্রাফ নামক যন্ত্রের এই যন্ত্রের বিশেষত্ব হলো বাহ্যিক প্রভাবকের প্রভাবে উদ্ভিদে উৎপন্ন বর্ণকে এটি রেকর্ড করতে সক্ষম উদ্ভিদ কোষ কে এদের সাধারন আকাশ থেকে প্রায় 10 হাজার গুন বিবর্জিত করে দেখাতে সক্ষম ছিল যার দ্বারা সহজেই উদ্ভিদ কোষের ওপর বাহ্যিক প্রভাবকের প্রভাবে সৃষ্ট স্পন্দন গতি কে প্রত্যক্ষ করা যেত এর দ্বারাই তিনি দেখেন যে উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সাদৃশ্য রয়েছে ক্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্র কয়েক সিরিজ গিয়ার এবং ঘোলা ঘষা কাঁচের প্লেট দিয়ে তৈরি এই কাছের একটি উদ্ভিদের গতিবিধি নড়াচড়াকে রেকর্ড করতে সক্ষম আগেই বলা হয়েছে যে এর বিবর্ধন ক্ষমতা প্রায় 10 হাজার গুণ ফলে উদ্ভিদ হতে প্রতিফলিত আলো যখন এই কাজ প্লেটের আপতিত হয় তখন প্লেটে সেই অনুযায়ী দৃশ্য ফুটে ওঠে একটি উদ্ভিদ কোষের গতিবিধি ও উত্তেজনার প্রতিফলন ধারণ করে এবং তাদের রূপ পরিবর্তিত হয় উদ্যোগের প্রভাবে উদ্ভিদের এই স্পন্দন আলোকবিন্দু আকারে প্লেটে প্রতিভাত হয় এবং নড়াচড়া করে উদ্ভিদের এই স্পন্দন তত্ত্ব বই প্রথম প্রদান করেছিলেন তিনি এ পরীক্ষা করে দেখিয়েছিলেন অন্যান্য বিজ্ঞানীগণ অত্যন্ত আগ্রহের সাথে তার এই কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেন বস প্রথমে উদ্ভিদের একটি শাখা বাড়াটা নিয়ে সেটাকে ব্রোমাইড দ্রবণে ডুবিয়ে নেন উল্লেখ্য হাইড্রোলিক এসিড লবণ সাধারণত বিষাক্ত হয় এরপর তিনি ক্রেস্কোগ্রাফ,
দিকে চালু করলেন এবং পর্যবেক্ষন করতে লাগলেন বিশ্বের প্রভাবে উদ্ভিদ কোষের স্পন্দনের কারণে প্রতিফলিত আলো বিন্দুটি প্লেটের উপর ইতঃস্তত নড়াচড়া করতে লাগল অনেকটা পেন্ডুলামের মত সময়ের সাথে সাথে এই স্পন্দন আরো বাড়তে লাগল প্রচন্ড হতে লাগল এবং এক সময় আকস্মিকভাবে এই স্পন্দন বন্ধ হয়ে গেল ঠিক যেমন বিষ প্রয়োগকৃত ইঁদুর বিশ্বের প্রভাবে উত্তেজিত হয়ে একসময় নিস্তেজ হয়ে যায় উদ্ভিদ ও তেমন নিস্তেজ হয়ে গেলো ব্রোমাইড এর প্রভাবে উদ্ভিদের মৃত্যু হল এই পরীক্ষা সবার কাছে প্রশংসার শহীদ গৃহীত হল যদিও কিছু উদ্ভিদ শরীর তাত্ত্বিক এতে সন্তুষ্ট হলেন না এবং তাকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে অনধিকার প্রবেশ করে হিসেবে মন্তব্য করলেন আরবি জগদীশচন্দ্র হাল ছাড়েন না ক্রেস্কোগ্রাফ এর সাহায্যে তিনি এরপর,
%20(2).jpg)
আরো পরীক্ষা চালালেন পর্যবেক্ষণ করলেন অন্যান্য, উদ্দীপক যেমন সার আলোকরশ্মি বেতার তরঙ্গ তড়িৎ রাসায়নিক দ্রব্য ইত্যাদির প্রতি উদ্ভিদের প্রতিক্রিয়া কি রোগ হতে পারে সেগুলো তিনি পরীক্ষা করেন আধুনিক যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনেক ঋত্বিক তার এই তথ্য সমর্থন করেছিলেন তিনি বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে প্রমাণ করেন যে উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষ সাদৃশ্যপূর্ণ ধাতুর ফ্যাটি সহজে বলতে গেলে হাতুর ক্লান্তি ব্যবসা নিয়ে বসে তুলনামূলক পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করেছিলেন ধাতুর ওপর যান্ত্রিক প্রভাবক তাপীয় প্রভাবক রাসায়নিক প্রভাব এমনকি তড়িৎ প্রবাহের প্রভাব নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন এই পর্যবেক্ষণের সারাদিন উদ্ভিদ কোষের ওপর বিভিন্ন প্রভাবকের প্রভাব এর মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে পান জগদীশচন্দ্র কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বন্ধুত্ব ছিল গভীর কবিগুরু সাহিত্যরস এপ্রকার হলেও বিজ্ঞানের বিষয় তিনি নিতান্ত জ্ঞানশূন্য অন্যদিকে বোস বিজ্ঞান হলেও তার সাহিত্য জ্ঞান ছিল সে দিক থেকে তাদের বন্ধুত্ব এর ফলে একদিকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কাছ থেকে বিজ্ঞানের ব্যাপারে জানতেন এবং বোস রবীন্দ্রনাথের থেকে সাহিত্য সম্পর্কে জানতেন রবীন্দ্রনাথ বেশ প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন কারণ 1896 সালে
নিরুদ্দেশের কাহিনী গল্পটি লিখে ফেলেন পরেও অবশ্য একে, আরও বিস্তৃত করে হবে সোনামুখ রচনাসমগ্র পলাতক তোমার নামে সংকলিত করা হয় বাংলা ভাষায় এটি প্রথম সায়েন্স ফিকশন অর্থাৎ বাংলা সাইন্স ফিকশনের যাত্রা শুরু হয়েছে বউয়ের হাত ধরেই যদিও জগদীশচন্দ্র তার নিজের করা গবেষণা বা আবিষ্কারের জন্য জীবদ্দশায় কোন গ্রহণ করেননি কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞানের সমাজ রেডিও তরঙ্গের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান, স্বীকার করেন অত্যন্ত সম্মানের সহিত তাকে আখ্যা দেয়া হয় বেতার যোগাযোগ এর জনক হিসেবে মিলিমিটার তরঙ্গ আবিষ্কার করে তিনি বেতার যোগাযোগের ক্ষেত্রে একজন অপরাধী হিসেবে গণ্য হন তার আবিস্কৃত অনেক যন্ত্র আজও ব্যবহার হয়ে আসছে যাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার এন্টেনা পোলারাইজার ও ওয়েব গাইড উল্লেখযোগ্য যদিও এখন এদের আধুনিকায়ন করা হয়েছে বহুবিধ যোগ্য এই বিজ্ঞানী 23 নভেম্বর হাজার 1937 সালে 78 বছর বয়সে মারা যান তার স্মরণে চাঁদের একটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের নামকরণ করা হয়েছে ক্রিকেটের নামে বহিষ্কারের বেশ প্রায় একানব্বই কিলোমিটার তার জন্ম শতবার্ষিকী কে স্মরণীয় করে রাখতে হাজার1958 সালে পশ্চিমবাংলায় বৃত্তির ব্যবস্থা চালু করা হয় একই বছর ভারত সরকার তার স্মরণে তার ছবি সম্বলিত ডাকটিকিট, প্রচলন করে 2012 সালে 14 ই সেপ্টেম্বর 13
মিলিমিটার তরঙ্গের গবেষণাকে আই ট্রিপল ইলেক্ট্রিক্যাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের মাইলস্টোন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল, গার্ডেনকে তার স্মরণে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস ইন্ডিয়ান টেনিকেল গার্ডেনে নামকরণ করা হয় 2016 সালের 30 নভেম্বর তার 158 তম জন্মবার্ষিকীতে গুগল ধরে তাকে স্মরণীয় করে রাখা হয় এছাড়াও জীবদ্দশায় তিনি ভূষিত হয়েছেন নানা উপাধিতে যেমন নাইট ব্যাচেলর উপাধি রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হয়েছেন ভিয়েনা অ্যাক্যাডেমি অফ সাইন্স এর সদস্য হয়েছেন মৃত্যুর কিছুকাল আগেও জগদীশচন্দ্র বসু 1937 সালে কলকাতায় বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন বসুর রচিত গবেষণাধর্মী বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রেসপন্স ইন দ্য লিভিং অন্ড নোনলিভিং রেস্পন্সে মিনস অফ ফিজিওলজিক্যাল ইনভেস্টিগেশন কম্পারেটিভ এলেক্ট্রোফিজিওলজি রিজার্ভেশন এর সিট এবিলিটি অফ প্লান্টস লাইভ
মুভমেন্ট ইন প্লান্টস ভলিউম টু ফিজিওলজি অফ, দা এন্ড অফ দা ফিজিওলজি অফ ফটোসিন্থেসিস মেকানিজম অফ প্লান্টস অটোগ্রাফ এন্ড দেয়ার রেলেশনস, অন্ড ফাব্রিক মমেন্টস অফ প্লান্টস মধুর মেকানিজম অফ ক্লান বিরুদ্ধে বিজ্ঞানী একাধারে অবদান রেখেছেন পদার্থবিজ্ঞান জৈব পদার্থ বিজ্ঞান উদ্ভিদবিজ্ঞান প্রত্নতত্ত্ব বাংলা সাহিত্য এবং বাংলা ছায়াছবি সমুদ্র তরঙ্গের গবেষণা ও অনুসন্ধান এর তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ তিনি তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে
গবেষণাভিত্তিক বিজ্ঞান চর্চার সূত্রপাত করেন নিরহংকারী এই বিজ্ঞানী চাইলেই পারতেন গোটাকয়েক প্যাটেন্টের অধিকারী হতে বলতে বোঝায় সরকারি, অনুমতি বা লাইসেন্স আবিষ্কারের উপর
আবিষ্কারের স্বত্বাধিকার, নির্দেশ করে কিন্তু এই মহান বিজ্ঞানী নিজের শতাধিক এর পরিবর্তে তিনি চেয়েছেন তার আবিষ্কার এবং তার গবেষণা যাতে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা কাজে লাগিয়ে মানুষের কল্যাণের জন্য, আরও সহজবোধ্য কোন কিছু এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারে সেইজন্য স্ত্রী তার পেটেন্ট অধিকার
চাইতে স্ত্রী তার আবিষ্কার এবং গবেষণাকে সবার কাছে উন্মুক্ত করে দেয়া
টাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন |
Post a Comment